মোঃ শাহজাহান ফকির,স্টাফ রিপোর্টার
ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে পানি নিষ্কাশনের ড্রেনে এডিস মশার কারখানা ও দূর্গন্ধের কারনে চরম দূর্ভোগে রয়েছে মহল্লাবাসী। পাশাপাশি ড্রেনের উপরে কোন স্ল্যাব না থাকায় ও ড্রেন ঘেষে থাকা রাস্তাটির অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ হওয়ায় তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। জানাগেছে, নান্দাইল পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হলেও পৌরসভার বেশীর ভাগ ওয়ার্ডেই নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। তবে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জাইক্যার সহায়তায় নবিদেব প্রকল্পের অর্থায়নে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য ৬৬৮ মিটার ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। পৌরসভার চারিআনি পাড়া মহল্লায় সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল হাকিম ভূইয়ার বাড়ির সামনে থেকে নরসুন্দা নদীর পাড় হয়ে সুরুজ মুন্সীর বাসা পর্যন্ত ড্রেনটি নির্মাণ করা হলেও ড্রেনের উপর স্ল্যাব বসানো হয়নি। প্রায় ৩ ফুট প্রস্থের ৫/৬ ফুট গর্ত বিশিষ্ট ড্রেনে এখন এডিস মশার বসবাস, ময়লা আবর্জনা আটকে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া দিনের বেলা ও রাতের আধারে শিশু-কিশোরী, যানবাহন ও গরু-ছাগল উক্ত ড্রেনে পড়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মহল্লাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পানি নিষ্কাশনের ড্রেন এখন আমাদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছে। ড্রেনের দুপাশে বাসা-বাড়ি থাকায় অনেকেই ওই ড্রেন পারাপারেও সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাসার সামনে নাম মাত্র ছোট ছোট স্ল্যাব দেওয়ায় তা কোন কাজে আসছে না। ড্রেন নির্মাণের পরপরই যদি ড্রেনের উপর স্ল্যাব বসানো হতো, তাহলে মহল্লাবাসীকে এতো কষ্ট করতে হতো না। পাশাপশি ড্রেন ঘেষে থাকা রাস্তাটিতেও গাড়ি নিয়ে বা পথচারীরা চলাচল করতেও দূর্ঘটনার ভয়ে থাকতে হয়। সিসি রাস্তাটির বিভিন্ন অংশ দেবে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে নান্দাইল পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। এটা শুধু ড্রেন নয়, ড্রেনের পাশে রাস্তটিও সংস্কার করতে হবে। এ জন্য বড় ধরনের প্রকল্প বরাদ্দ প্রয়োজন। রাজস্ব খাতে তেমন ফান্ড না থাকায় ছোট ছোট প্রকল্প দিয়ে স্ল্যাব সহ সংস্কার কাজ করতে হবে। এছাড়া মশক নিধনের জন্য যা যা প্রয়োজন তা করা হবে।
Leave a Reply