
ক্রাইম রিপোর্টার:কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চোদ্দশত বাজার এলাকায় র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরিচালিত এই অভিযানে ধরা পড়ে মোঃ শহিদুল ইসলাম অন্তর (২৫)। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বারোহাল গ্রামে। তার পিতা মোঃ শফিকুল ইসলাম।
র্যাব জানায়, গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরেই মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের গতিবিধি নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চিহ্নিত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০ কেজি গাঁজা। আটক করা হয় শহিদুল ইসলাম অন্তরকে। অভিযানে ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিও জব্দ করা হয়।
আটককৃত গাঁজার বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা। তারা আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্তর মাদক বহনের কথা স্বীকার করেছে এবং জানায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত এলাকা থেকে গাঁজা সংগ্রহ করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল।
র্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, “আমরা গোপন সূত্রে আগেই জানতে পেরেছিলাম, একটি নির্দিষ্ট সিএনজি মাধ্যমে গাঁজা পাচার করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী আমরা অভিযান পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নেই এবং অভিযানে সফলভাবে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হই। মাদক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে।”
র্যাবের এমন সফল অভিযান কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে মাদক বিরোধী কার্যক্রমকে আরও জোরদার করবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, এলাকাটি আগে থেকেই মাদক বাণিজ্যের জন্য কিছুটা দুর্নাম কুড়িয়েছে। র্যাবের এমন অভিযান সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছে। অনেকেই চাইছেন, এই ধরনের অভিযান যেন নিয়মিত হয় এবং মাদকের মূল শিকড় উৎখাত করা হয়।
স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, “এই এলাকায় কিছুদিন ধরেই মাদক ব্যবসা বেড়ে যাচ্ছিল। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর অনেক অচেনা মানুষকে সিএনজিতে আসতে যেতে দেখা যেত। র্যাব সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
র্যাব জানিয়েছে, আটক শহিদুল ইসলাম অন্তরের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসাথে তার সহযোগীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মাদক নির্মূলে র্যাবের এই ধরনের অভিযান দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন উদ্যোগে মাদক কারবারিরা আতঙ্কিত হচ্ছে এবং সমাজে সচেতনতা বাড়ছে।
Leave a Reply