মোঃ শাহজাহান ফকির,স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির ফলে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ প্রশাসন ও গ্রাম পুলিশের দায়িত্বে অবহেলায় চোরের উৎপাত দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে রাত হলেই গোয়ালে গরু রেখে কৃষকরা আতঙ্কে রাত কাটাতে হচ্ছে। এছাড়া সিদেঁল চোর সহ অন্যান্য চোরের অত্যাচারের কারনে সাধারন মানুষের জান-মাল এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছে। জানাগেছে, নান্দাইল উপজেলার সুরাশ্রম ও কচুরি গ্রামে পরপর দুই রাতে ৭ কৃষকের ১৭টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। ১৭ টি গরুর মধ্যে ১০টি গরু চুরির ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এর কোন সুরাহা হচ্ছে না। বাকি ৭টি গরুর বিষয়ে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। কৃষকের গরু চুরি হলেও গরু হারিয়েগেছে বলে থানায় জিডি করতে হয়। এছাড়া চোরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলেও তা আমলে না নেওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে সাধারণ মানুষ। এ যেন ৫ই আগস্টের পূর্বের কাহিনী। এখনও পুলিশ প্রশাসন আসামি ছাড়াছাড়ি ও মামলা এফআইআর করতে দর কষাকষির মতো বিষয় নিয়ে বহাল তবিয়তে আছেন তারা। কোন মামলা বা মামলার তদন্তে ও চার্জশীটে উৎকোচ না দিলে কোন কাজ হয় না। এরকম অভিযোগের পাশাপাশি সাধারন মানুষের গোয়াল ঘরে থাকায় একমাত্র সহায় সম্বল গরু ও বসত ঘরের থাকা মূল্যবান জিনিস পত্র চুরির বৃদ্ধির কারণে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আস্থা আর ফিরিয়ে অদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে সুশীল সমাজে সংশয় রয়েছে।। গত বুধবার রাতে উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম গ্রামের একটি বাড়ির কদ্দুস মিয়ার ২টি গরু, সঞ্জু মিয়ার ৩টি, ফজলুল রহমানের ৩টি ও লিটনের ২টি সহ মোট ১০টি গরু চুরি হয়। কৃষক ফজলুর রহমান জানান,ত াঁর তিনটি গরুর মধ্যে ২টি দুধেল গাভি চুরি হয়েছে। ওই গাভিগুলোর দুধ বিক্রি করেই তিনি সংসার চালাতেন। ওই গ্রামের সঞ্জু মিয়া জানান, তাঁর তিনটি গরু দিয়ে নিজের জমি ছাড়াও পরের জমি হাল চাষাবাদ করতেন। তাদের বাড়ি থেকে একই সাথে বিভিন্নজাতের ১০টি গরু চুরির ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে শুক্রবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অপর দিক বৃহষ্পতিবার রাতে উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কচুরী গ্রামের আবু বক্করের ২টি,দুলাল মিয়ার ৩টি ও নুর মিয়ার ২টি গরু চোরেরা নিয়ে যায়। ওই রাতে একই গ্রামের নুর মিয়া ও আবু বাক্কারের ২ টি করে মোট ৪টি গরু চুরি হয়েছে। পরপর দুইদিন ১৭ টি গরু চুরি হওয়ায় ওই দুই গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামে গরু চুরির আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে নান্দাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, গরু চুরি প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
Leave a Reply