1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
রূপগঞ্জে  বিয়ের প্রলোভনে ৫ বছর ধরে কলেজ শিক্ষার্থীর  সাথে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ শেরপুরে পুর্ব শত্রুতার জেরে মাদ্রাসার ছাত্র আবু বক্কর সিদ্দিককে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত বাজিতপুরে রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন এলাকা পরিদর্শন করেন নির্বাহী কর্মকর্তা ফারাশিদ বিন এনাম  পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালন কবি ও সাংবাদিক আফসার আশরাফী পেলেন কায়কোবাদ পুরস্কার ২০২৫ রূপগঞ্জে অবৈধ আবাসন কোম্পানীর সাইনবোর্ড গুড়িয়ে দিয়েছে প্রসাশন কিশোরগঞ্জে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলেও তদন্ত হয় না  বরের কিডনী নষ্ট শোনে গৃহবধুর বিদায় ছেলেকে বাচাঁতে মায়ের আকুতি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় ব্জ্রপাতে ৩ স্কুল ছাত্রী নিহত নান্দাইলে এনসিপি কর্মী’র উপর হামলা ॥ থানায় অভিযোগ

অপহরণকারী হাত থেকে প্রাণে বাচঁলেও রক্ষা হয়নি ছাত্রীর চোখ।

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৫৬ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির বিশেষ প্রতিনিধি

[ চোখের কর্ণিয়া এখন বাড়ির ফ্রিজে ]

[ তিন মাস যাবত চালানো হয় যৌন নির্যাতন ]

অপহরণের দীর্ঘ তিন মাস শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের পর এক মাদ্রাসার ছাত্রী প্রাণে বাচঁলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর একটি চোখ। অপহরণকারীর নির্যাতনে আঘাতে তাঁর ডান চোখটি নষ্ট হয়ে গেছে। অস্ত্রোপচারের পর ডাক্তারের দেওয়ার ছাত্রীর চোখের কর্ণিয়া এখন বাড়ির ফ্রিজে রাখা আছে। এমন হৃদয় বিদারক ও নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের নারায়াণপুর গ্রামের এক নিরীহ কৃষকের কন্যা (১৫) এর সঙ্গে। সে স্থানীয় বাকচান্দা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (পাপিয়া)। এ বিষয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নালিসি (সিআর) মামলা দায়ের করা হলেও এপর্যন্ত অভিযুক্ত অপহরণকারীকে আইনের আওতায় আনা হয়নি। উক্ত অপহরণকারী একই ইউনিয়নের কুচুরী চরপাড়া গ্রামের হানিফ মিয়ার পুত্র মো. হোসাইন (১৯)। সে বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমীর দশম শ্রেণির ছাত্র। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, হোসাইন ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া ছাড়াও মাদরাসা ও প্রাইভেটে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে গত ১ জুন প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ছাত্রীটিকে দলবলসহ উঠিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যায় হোসাইন। পরে অনেক জায়গায় খোঁজ করেও মেয়েটির সন্ধান পায়নি পরিবার। দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে থানায় গিয়ে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা নিতে পারেনি পরিবারটি। পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহৃত ছাত্রীটিকে বাড়ির সামনে নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় হোসাইন।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ এবং পরে ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৫ দিন চিকিৎসার সময় বাম চোখ বাঁচাতে আঘাতপ্রাপ্ত ডান চোখটি ওঠিয়ে ফেলা হয়। আহত ওই ছাত্রী জানায়, তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নারায়ণঞ্জের একটি এলাকায় রাখা হয়েছিল।

প্রতিদিনই চলত যৌন নির্যাতন। বাধা দিলে চালানো হতো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। পালানোর চেষ্টা করায় সে আমার চোখ উপড়ে ফেলার জন্য আঘাত করে। পরদিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে নান্দাইলে ফেলে রেখে চলে যায়। আমি এর বিচার চাই। নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর বাবা জানান, অর্থাভাবে মেয়ের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অন্যদিকে আদালতে দায়ের করা মামলাটির তদন্তকর্মকর্তা একদিন আসলেও পরে আর কোনো খোঁজ-খবর নিচ্ছেনা। আমি এর সঠিক বিচার চাই। ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মোসলেহ উদ্দিন জানান, পুরো ঘটনা সত্য। এক মাস আগে হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি। এখনো প্রতিবেদন না পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারছেন না।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি