1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পহেলা মে, শ্রমিক দিবস, এর মানে গরিবের দিবস, এখানে কোনদিন সফলতা আসেনি কোনো শ্রমিকের! ডিমলায় প্রেম নিবেদনে প্রতিবাদ করায় পরীক্ষার্থীর উপর হামলায় আহত – ১০  ভাল কিছু করতে গেলেই হয়রানি করা হয়: সেলিম প্রধান ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন

কিশোরগঞ্জের কালিয়াচাপড়া সাপ্তাহিক হাটে পিঁড়িতে বসে চুল-দাড়ি কাটার দৃশ্য বিলুপ্তির পথে।

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৬৮ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ সোহেল মিয়া (কিশোরগঞ্জ)

প্রাচীন প্রথাগত ভাবে সারা দেশের মতো কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার গ্রাম-গঞ্জ,পাড়ায় পাড়ায় এবং হাট-বাজারসহ বিভিন্ন জায়গাতে চোখে পড়তো ভ্রাম্যমাণ নাপিত/নরসুন্দর এবং সেলুন। কখনো দেখা যেত কোনো গাছের নিচে অথবা বাজার এর মোড়ায় বসে,আবার কখনো ব্যাগে একটি আয়না নিয়ে গ্রামে গ্রামে, বাস স্ট্যান্ডে আয়না লাগিয়ে বসে আছেন এসব নাপিত/নরসুন্দর।

গ্রামের পাড়ায় নাপিতদের চুল কাটার পরে মজুরি হিসেবে দেয়া হতো চাল। খরচ কম হওয়ায় চুল-দাড়ি কামাতে সেখানে ভিড় করতেন সাধারণ মানুষ। তবে দিন দিন আধুনিকতার ছোঁয়ায় বদলে গেছে শহরে জীবন, নির্মিত হয়েছে এয়ার কন্ডিশন সমৃদ্ধ সেলুন। এই আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে ও গ্রামে-গঞ্চে এখন বিলুপ্তির পথে পিঁড়িতে বসে চুল-দাড়ি কাটার দৃশ্য। অথচ এক সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন জায়গাতে নাপিতরা চুল কাটার বা ছাঁটার যন্ত্রপাতি নিয়ে বসেন গ্রাম-গঞ্চে ও বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে।

বর্তমানে পাকুন্দিয়া উপজেলার ও গ্রামের হাটবাজার গুলোতে রয়েছে এসি ও নন-এসি সেলুন। নারীদের মত পুরুষদের জন্য রয়েছে পার্লার। সেসব সেলুন ও পার্লারে চুল ও দাড়ি কাটার জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও মেশিন।

এই আধুনিক যন্ত্রপাতি মেশিনের ছোঁয়ায় কালক্রমে হারিয়ে গেছে সেই ভ্রাম্যমাণ নাপীতের চুল ও দাড়ি কাটার চিত্র। তবে কয়েকটি জায়গাতে যেমন- কালিয়াচাপড়া বাজারে দেখা গেছে ভ্রাম্যমাণ নাপিত/নরসুন্দার চুল কাটার বা ছাঁটার যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে আছেন চুল কাটার জন্য। প্রতিদিন হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারাই সেই নাপিত/নরসুন্দরদের কাস্টমার হয়।

কালিয়াচাপড়া হাটে এক নাপিত/নরসুন্দরের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে তিনি দাড়ি ও চুল কেটে তার সংসার চালাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটে বাজার করতে আসা মানুষজন তার কাস্টমার। সে সপ্তাহিক বিভিন্ন হাটবাজারে গিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসে চুল ও দাড়ি কেটে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রতিজনের চুল কাটতে ২০-৩০ টাকা এবং শেভ বা দাড়ি ঠিক করতে ১৫-২০ টাকা নেন।

কালিয়াচাপড়া সাপ্তাহিক বাজারে, বাজার করতে আসা এক কাস্টমার জানান,ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে হাটে এসে এই ভ্রাম্যমাণ নাপিত/ নরসুন্দরদের কাছে চুল কাটাতাম। এখন আমি আমার বাবার মত আমার সন্তানদের এনে চুল কাটাচ্ছি। তবে সময়ে পরিবর্তনের সাথে সাথে এই নাপিত/ নরসুন্দর বিলুপ্তির পথে।

তিনি আরো বলেন, আমি একজন দিনমজুর মানুষ। দিনে এনে দিনে খাই। এখানে আধুনিক এসি/নন এসি সেলুনে চুল ও দাড়ি কাটাতে গেলে ৫০ থেকে ১০০ টাকা লাগে। আর এদের কাছে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ টাকায় চুল ও দাড়ি কাটানো যায়। আধুনিক সেলুন আর নাপিত/নরসুন্দর এদের কাজের মান প্রায় সমান। যার ফলে এখানে এসে আমি ও আমার সন্তানদের চুল কাটা‍ই।

এক সাক্ষাতে ‍একজন নাপিত/নরসুন্দর বলেন, এ পেশা আমার দাদার ছিল। দাদার মৃত্যুর পরে আমার বাবাও ছিলেন এ পেশায়। বাবার কাছ থেকেই আমার এ পেশার হাতেখড়ি শেখা। বাবার মৃত্যুর পরে আমিই হাল ধরেছি। টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। জানি না কতদিন পারবো। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই নাপিত/নরসুন্দর ভ্রাম্যমাণ পেশা যায় যায় অবস্থা।

তিনি আরো বলেন, এই কালিয়াচাপড়া বাজারে সপ্তাহে মঙ্গলবার হাট বসে। প্রতি হাটে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। প্রতিটি হাটে চুল ও দাড়ি কেটে ৫০০-৬০০ টাকা আয় হয়। এ আয় দিয়েই তার ৫জন সদস্যের সংসার চালাচ্ছে এই নাপিত/নরসুন্দর।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি