1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
পহেলা মে, শ্রমিক দিবস, এর মানে গরিবের দিবস, এখানে কোনদিন সফলতা আসেনি কোনো শ্রমিকের! ডিমলায় প্রেম নিবেদনে প্রতিবাদ করায় পরীক্ষার্থীর উপর হামলায় আহত – ১০  ভাল কিছু করতে গেলেই হয়রানি করা হয়: সেলিম প্রধান ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন

সোনার হরিণ ২৬ লক্ষ্য

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ২৩১ বার শেয়ার করা হয়েছে।

 

সোনার হরিণ ২৬ লক্ষ্য
সোনার হরিণ।লোক মুখে শুনতাম রুপকথার গল্প সোনার হরিণ।তখন ভাবতাম, হরিণ বোধহয় দুই জাতের।একটি জাত রক্তে মাংসের শরীর এমন হরিণ।আর একটি জাত সেটা হলো, সোনা দিয়ে মোড়ানো বা সোনা রঙের তৈরি হরিণ। যেটা ধনী লোকেদের টেবিলে কিংবা ঘরে সাজানো থাকে।
কিন্তু বাংলাদেশে তিন জাতের হরিণ আছে এটা বুঝতাম না! তবে এখন বুঝি তৃতীয় জাতের হরিণ কাকে বলে বা কী দিয়ে মোড়ানো। তৃতীয় জাতের হরিণ হলোঃ কোনো সরকারি বা বেসরকারি কর্মসংস্থানের একটি আসন।তবে এর মধ্যে একটু পার্থক্য আছে।
পার্থক্যটা হলো এই, সরকারি অফিসের আসন টাকা এবং সরকারি বড় বড় আমলাদের পা চেটে পেতে হয় এরমধ্যে দুর্ভাগ্য বসত কেউ এমতিতেও পেয়ে যায়। সেখানে যোগ্য ব্যাক্তির তেমন সুযোগ নেই।আর বেসরকারি কারখানা বা অফিসের আসন মামাদের মাধ্যমে বন্টন হয়। যদিও সরকারি অফিসের আসন পাওয়ার সংস্কার চলছে বর্তমানে। এক কথায় বাংলাদেশে একেকটা চাকরি সোনার হরিণ। তবে সরকারি চাকরি চরম সোনার হরিণ!
যাইহোক মুল বিষয় হলো আমাদের দেশে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর হিসেব মতে এখনো বেকার রয়েছে ২৫ লক্ষ্য ৯০ হাজার।প্রতি বছর বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
এভাবে চলতে থাকলে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে শিক্ষিত বেকার ৩০ লক্ষ্য ছাড়িয়ে যাবে।এছাড়াও মৌসুম বেকার হিসেব করলে এর সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।
জেনে  আসি বেকার কারা বা কাকে বলেঃ কোনো ব্যাক্তি যদি এক সপ্তাহের মধ্যে এক ঘন্টাও কোনো কাজ না করেন (অর্থের বিনিময়ে)  তবে তাকে বেকার বলে। আমি মনে করি এই সঙ্গা আমাদের জন্য প্রযোজ্য নয়!
আমার প্রশ্ন হলো শিক্ষিত বেকারের যে বড় একটি বোঝা আমরা যুগের পর যুগ বয়ে বেড়াচ্ছি এর কী  সমাধান নেই?
হ্যাঁ, আমি সমাধান পেয়েছি বলে মনে করি। ভারতের একজন রাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ রাজনীতিবীদ অরুণাভ ঘোষ বলেছেন তার দেশের ২৬ লক্ষ্য লোক বাংলাদেশে  কাজ করে।তার বক্তব্য অনুযায়ী আমার দেশের বেকারদেরকে সেই কাজে যোগদান করালে আরো ১০হাজার আসন পড়ে থাকবে।আমি মনে করি দ্রুত ভারতের সেই ২৬ লক্ষ্য লোককে চাকরি হতে ছাটাই করে আমাদের বেকারদে যার যার যোগ্য স্থানে বসানো হোক।(তথ্যঃ স্যোশাল মিডিয়া টকশো)
এই তো কয়েক দিন আগে আমাদের প্রিয় ও অন্যায়ের প্রতিবাদে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী এবং ছাত্র সমাজের মাথার মুকুট আসিফ নজরুল স্যার বলেছেন, ভারতের ২৬ লক্ষ্য লোক বাংলাদেশে চাকরি করছে।
আমার প্রশ্ন হলোঃ আমার দেশে বেকারত্ব পুষিয়ে কেন অন্যদের দিয়ে কাজ করাবো?
আমি বলবো দেশের ঘাড়ে বোঝা না বাড়িয়ে বেকারত্ব দুর করুন। বেকার জনগণ দেশের বোঝা, সমাজের বোঝা। শিক্ষিত বেকাররা হতাশায় ভুগছেন। দুশ্চিন্তায় মাদক সেবনে আসক্ত হচ্ছেন। সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এটা দেশের জন্য কখনই ভালো হতে পারে না।
সরকারি দায়িত্বে আপনারা যারা আছেন।দ্রুত ২৬ লক্ষ্য ভারতীয় চাকরিজীবিদের তথ্য প্রমাণ জনগণের সামনে তুলে ধরুন এবং দেশের বেকার জনশক্তি না বাড়িয়ে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করুন।
আপনাদের নিকট অনুরোধ,  তাদের তথ্য প্রকাশ করুন। বাংলাদেশের বেকারত্ব ২৫ লক্ষ্য থেকে ২৬ লক্ষ্যের পায়ের নিচে ফেলবেন না।এতে দেশের আর্থিক অবনতি ঘটব এবং নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে।তাই আমাদের বেকারদের কাজে বসান এবং ভারতীয়দের ছাটাই করুন।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি