অথই নূরুল আমিন
আজকে স্বাধীনতার তেপ্পান্ন বছর পরে জামায়াত নিষিদ্ধের পক্ষে চৌদ্দ দলের একমত খবরটি যেন সত্যি হাস্যকর। আমাদের দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই জামায়াত ছিল কিছু বয়স্ক রাজাকারদের একটি সংগঠন। ওখানে সেদিন দাড়িওয়ালা টুপি ওয়ালাই বেশি ছিল।
তারপর দির্ঘ বছরে তাদের দির্ঘ ইতিহাস। তাদের দির্ঘ পরিকল্পনা তারা প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। তবে খুবই নিখুঁত ভাবে। দেশ স্বাধীনের পর সেই জরাজীর্ণ নাজেহাল সংগঠন জামায়াতে ইসলামী আজকে যেন তারা নতুন করে নব যৌবনে পা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সহ তাদের সহযোগী সংগঠন গুলো জানেই না।
জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের কার্যক্রম এক কথায় দেশের প্রতিটা ঘরে তাদের রয়েছে সদস্য ও সমর্থক। তবে তারা শিক্ষিত সমর্থক। দেশের যত পল্লী ডাঃ আছে। তাদের মধ্যে গোপনে গোপনে 80% ডাঃ জামায়াত অথবা শিবিরের সক্রিয় সদস্য। দেশের যত কিন্ডারগার্টেন স্কুল কলেজ আছে। ঐ সকল স্কুল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা যারা তারা 90% এর বেশি জামায়াত শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত। এরকম সরকারি চাকরি বলেন সকল সেক্টরে তাদের রয়েছে 30% সমর্থক।
আর দলে জামায়াত মনা 22% লোক রয়েছে সয়ং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে বিভিন্ন কমিটিতে। দেশের খোদ বিচার বিভাগে বিচারপতি আইনজীবী রয়েছে 25% এখন আসি ব্যবসায়। খাতুনগঞ্জ সহ বাংলাদেশে জামায়াত মনা ব্যবসায়ী আছে 35% তারপর মসজিদের ইমাম বলেন মাদ্রাসার মাওলানা বলেন সেখানে ও তাদের সমর্থক রয়েছে সন্তোষজনক।
তাই আজকে কাগজে কলমে জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ কললেই কি ওরা নিস্তেজ হয়ে যাবে? মামলা হামলা গ্রেফতার করলেই কি ওদের ভক্ত সমর্থক কমে যাবে?
না। কমবে না। বরং আরো বাড়বে। তবে কথা থাকে যে জামায়াত শিবির সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হলো আওয়ামী লীগের গত পনেরো বছরেই বেশি। তাদের যেমন রয়েছে আয় বর্ধক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তেমনি রয়েছে বড় বড় নামে বেনামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে জামায়াত শিবিরের জন সমর্থক আজকে বিএনপির চেয়েও অনেক বেশি।
দেশে একক ক্ষমতায় আসার মত শক্তি তারা সঞ্চয় করেছে। এখান শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ তিলে তিলে তারা দেশের সকল সেক্টরে জন সমর্থন রয়েছে। সরকার এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সাপ মেরে যেন সাপের লেজে বিষ না থাকে।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
30 জুলাই 3024
Leave a Reply