1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৮:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
নান্দাইলে ইউপি চেয়ারম্যান খোকন সহ ছাত্রলীগ-শ্রমিকলীগের দুই নেতা গ্রেফতার পাকুন্দিয়ায় আন্তর্জাতিক মহান শ্রমিক দিবস পালন রূপগঞ্জে ডাইং কারখানায় গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ তিন  সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা হারুন ও তার মেয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার পহেলা মে, শ্রমিক দিবস, এর মানে গরিবের দিবস, এখানে কোনদিন সফলতা আসেনি কোনো শ্রমিকের! ডিমলায় প্রেম নিবেদনে প্রতিবাদ করায় পরীক্ষার্থীর উপর হামলায় আহত – ১০  ভাল কিছু করতে গেলেই হয়রানি করা হয়: সেলিম প্রধান ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ

আ.লীগ জেলা নেতারা করেছে পদ বাণিজ্য। এমপিরা করেছে কমিশন বাণিজ্য। ওরা যেন চোরের খনি।

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪
  • ১৪৩ বার শেয়ার করা হয়েছে।

অথই নূরুল আমিন

শেখ হাসিনা যেন নাচের পুতুল। আজকে সব দোষ তার। আজকে সেনাবাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা দিতে হচ্ছে। তাহলে গত পনেরো বছর ধরে। ওরা কি করেছে। আমার জানামতে ওরা দেশের সাধারণ মানুষ এবং ত‍্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করেছে।

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের যত এমপি আছে। তারা সবাই কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধা। কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। কেউ প্রবীণ আওয়ামী লীগার। কেউ কেউ আওয়ামী ঘরানার সন্তান। তারা যখন নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচনে যায়। তখন তাদের দাপটে বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়।

আওয়ামী লীগের একেকজন এমপি যেন একেক এলাকায় কয়েক হাজার সিংহের সমতুল‍্য। এছাড়া দলীয় জেলা উপজেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা যেন তারা সবাই বাঘের বাচ্চাদের মতো সবসময় গর্জন করে থাকে।

এগুলো বিএনপি জাতীয় পার্টির বেলায় ও দেখেছি। যখন যেদল ক্ষমতায় থাকে ক্ষমতাসীনরা সবসময় বাঘ সিংহর মতো গর্জন করতেই থাকে। এটা হয়তো ক্ষমতার দাপটের আকার মাত্র।

তবে এই ক্ষমতা কোনো নেতাই সাধারণ জনগণের কল‍্যাণে আসে না। সবাই কমিশন বাণিজ্য করতেই বেশি ব‍্যস্ত থাকে। গত পনেরো বছরে এই দেশে এমন একজন জেলা সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের মুখে শুনি নাই যে সে বলেছে। আমার এই জেলায় আমি যতদিন এই পদে আছি বা আমার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। ততদিন আমার এই জেলায় কোনো সরকারি কর্মকর্তা কোনো জনগণের কাছ থেকে কোনো প্রকার ঘুষ খেতে পারবেন না।

যখন গত পনেরো কোনো এমপি দেশের জন স্বার্থে তার নিজ এলাকায় বা সংসদে কোনো কথা বলে না। তখন কি তাদেরকে দেশপ্রেমিক বলা যায়? যায়না। আওয়ামী লীগ বলে তারা স্বাধীনতার পক্ষের দল। তাই দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রতি মাসে ভাতা পাচ্ছে।

দেশের মানুষ জানতে চায়। এই ভাতাটা কি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবী না কি সরকারের পক্ষ থেকে খায়েস করে দেয়া হচ্ছে। যদি তাদের দাবি থাকে। তাহলে প্রশ্ন হলো। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে যারা কোটিপতি আছে। যারা এমপি মন্ত্রী আছে। এই ভাতা কি আদৌ তাদের প্রয়োজন কি না?

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এই ভাতা কি সেদিন বহাল ছিল। যখন জিয়াউর রহমান এরশাদ খালেদারা ক্ষমতায় ছিলো। আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে কি দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই ভাতা পাবে?

আমার তো মনে হয়না। আজকে এগারো দিন ধরে দেশে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন চলছে। দেশ জুড়ে সেনাবাহিনী নিয়োজিত আছে। দেশের কয়েক জেলায় কারফিউ চলছে। কিন্তু এর মধ‍্যে দেশের অনেক জাতীয় সম্পদ নষ্ট করেছে। জেলখানা ভেঙ্গে আসামী নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।

এখন পযর্ন্ত দেশের কোনো এমপি। কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা। কোনো জেলা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক কেউ ঘোষণা করেনি। আমার আসন বা আমার জেলা রাজাকার মুক্ত। এখানে কোনো ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। কেউ আসলেও আমরা প্রতিরোধ করে দিব।

না। কোনো এমপি কোনো জেলা নেতা আজকে আর সগৌরবে এই কথা বলার মুখ নেই। তার কারণ। ঐ জেলা নেতারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের প্রকৃত ত‍্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিএনপি জামায়াতের লোকজন কে নেতা বানিয়ে দিয়েছে। আজকে এই আন্দোলনে দেশের সকল আওয়ামী লীগের এমপি সকল জেলা নেতারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।

ত‍্যাগী নেতাদের সাথে এমপিরা সবাই খারাপ আচরণ করেছে। জেলা নেতারা উপজেলা ইউনিয়নে পদ বিক্রি করে দিয়েছে অযোগ্য লোকদের কাছে। যার ফলে দলের ভাবমূর্তি যেমন ক্ষুণ্ন হয়েছে। তেমনি দল হয়েছে দুর্বল। আজকে দিবালোকের মতো পরিস্কার হয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা মানে সেই বঙ্গবন্ধুর আমলে ছিল কম্বল চোর থেকে শেখ হাসিনার আমল পযর্ন্ত ওরা যেমন ঘরানা আওয়ামী লীগ সেই ঘরানা চোর।

বঙ্গবন্ধুর আমলে যেসকল আওয়ামী লীগ নেতারা কম্বল চোর ছিল। তখনও তারা নেতাই ছিলো। আজকে সেই সূত্র ধরে সেই চোর নেতাদের ছেলে মেয়েরাই আওয়ামী লীগের নেতা নেত্রী। তারাও পদ বাণিজ্য ঘুষ বাণিজ্য অনেকেই তো চাদাবাজীসহ সব ধরনের খারাপ কাজে ওরা লিপ্ত। তাই আন্দোলন প্রতিরোধে জন সমর্থক মিলছে না। খাবার বেলায় একা খাবেন। আর আন্দোলনের সময় ত‍্যাগী কর্মী খোঁজে বেড়াবেন। চলবে

অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিষ্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।
29 জুলাই 2024 মোহাম্মদপুর, ঢাকা থেকে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি