1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ডিমলায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিহত-১  এবার জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে অব্যাহতি পবিত্র হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন

রূপগঞ্জে কাউন্সিলরের একটি ছয়তলা ও দুটি চারতলা বাড়ি জব্দের আদেশ।

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪
  • ১২১ বার শেয়ার করা হয়েছে।

সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের চারটি বাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এগুলোর মধ্যে একটি ছয়তলা ও দুটি চারতলা ভবন রয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ রোববার বাড়িগুলো জব্দ করার আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম বলেন, কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সাড়ে সাত কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুদক। রূপগঞ্জে তাঁর নামে চারটি বাড়ি থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আরও জমি পাওয়া গেছে। দুদকের পক্ষ থেকে আতিকুরের বাড়ি ও জমির তালিকা তুলে ধরে সেগুলো ক্রোক (জব্দ) করার আবেদন করা হয়। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

দুদকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কাউন্সিলর আতিকুরের তারাবতে চার শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা বাড়ি জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জমি কেনা হয়েছিল ২০১২ সালে। তারাবতে সাড়ে সাত শতক জমির ওপর নির্মিত ছয়তলা বাড়িটি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এই জমি কেনা হয় ২০১৯ সালে। তারাবতে ৩৮ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত চারতলা বাড়িটিও জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে। জমি কেনা হয় ২০২০ সালে। এ ছাড়া তারাবতে ৫ শতক জমির ওপর আতিকুরের আরেকটি টিনশেড বাড়ি রয়েছে। এটার জমি কেনা হয় ২০১৯ সালে।

দুদকের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে তারাব পৌরসভায় আতিকুর ২৮ শতক জমি কেনেন। পরের বছর (২০১৮ সাল) তিনি তারাব এলাকায় আরও চার শতক জমি কেনেন। একই বছর আতিকুর আরও দেড় শতক জমি কেনেন।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে কাউন্সিলর আতিকুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। পরে তারাব পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজীকে ফোনে করলে অন্য একজন ধরেন। আতিকুর রহমানের চার বাড়ি জব্দের আদেশের তথ্য জানানোর পর তিনি বলেন, মেয়র অসুস্থ। তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে চান না।সাড়ে সাত কোটি টাকার সম্পদ আতিকুরের

আতিকুর রহমান ২০১৫ সালে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আরও একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের তথ্য মতে, চার বছর আগে (২০২০ সাল) তারাব পৌরসভার কাউন্সিলর আতিকুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

দুদকের অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর ২০২১ সালে কাউন্সিলর আতিকুরকে তাঁর সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয় দুদক। পরে দুদক কার্যালয়ে তিনি সম্পদের বিবরণী জমা দেন। আতিকুরের সম্পদ বিবরণীর তথ্য পর্যালোচনা করে দুদক জানতে পারে, আতিকুর স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ৩ কোটি ৬১ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেন ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। তবে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে, কাউন্সিলর আতিকুরের স্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার। আর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকার।

অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর গত ১৪ মার্চ কাউন্সিলর আতিকুরের রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার তথ্য অনুযায়ী, আতিকুরের গ্রহণযোগ্য বৈধ আয় ৪০ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। তাঁর ঋণের পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি