1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা

নান্দাইল খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে নৈশ প্রহরী’র রাম রাজত্ব!

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৯৯ বার শেয়ার করা হয়েছে।
খাইরুল ইসলাম (নান্দাইল) প্রতিনিধিঃ

সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী একই কর্মস্থলে তিন বছরের বেশি সময় থাকার বিধান নেই। অথচ
নান্দাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নৈশ প্রহরী নিজ কর্মস্থল থেকে বদলি হতে চাননা। বদলি হলেও একই উপজেলায় বারবার বদলি হয়ে এসে যোগদান করে।যার ফলে গতি আসছে না কাজে। অনেকটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন ওই নৈশ প্রহরী তৌফিকুর রহমান । দীর্ঘ দিন একই কর্মস্থলে চাকরির সুবাধে ডালপালা মেলেছেন তার। অধিপত্যে অধিনস্থ কিংবা সেবা গ্রহীতারা মুখ খুলে প্রতিবাদ করতে পারছেন না। নিজেকে অফিস সহায় পরিচয় দিয়ে
অনৈতিকভাবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হয়েছেন নৈশ প্রহর।

অনুসন্ধানে জানা যায়, হালুয়াঘাট উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে ২০০৮ সালে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নৈশ প্রহরী পদে যোগদান করেন তৌফিকুল ইসলাম। হালুয়াঘাট কিছুদিন যেতে না যেতেই বদলি হয়ে ফুলপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে আসেন। সেখানে ৫ থেকে ৬ বছর একই কর্মস্থলে চাকরি করে। তারপরেই ঘটে বিপত্তি! ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে সংযুক্তি পদে এসে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু নান্দাইল তিন বছর চাকরির পরেই আবার ফুলপুর ট্রান্সফার হয় ফুলপুর থেকে দুই মাস অতিবাহিত হওয়ার আগেই নান্দাইল চলে আসেন।

গত (২৭জুন) বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নান্দাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে উপস্থিত তৌফিকুর রহমান। কিন্তু নাম-পরিচয় জানতে চাইলে, নিজের পদবি বলতে দ্বিধাবোধ করছেন! এক পর্যায়ে নিজেকে কম্পিউটার কাম অফিস সহায়ক হিসেবে পরিচয় দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানান,”তার কুঠির জোরে সে আধিপত্য বিস্তার করছে।
এগুলো কেউ দেখেনা।”

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি’র এক পরিবেশক জানান,
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে (ফুড অফিস) ও খাদ্য গুদামে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। টাকা না দিলে ওজনে কম ও লাইসেন্স বাতিল হতে পারে। অনেক টাকার বিনিময়ে লাইসেন্স পেয়েছি। জানিনা কপালে কি আছে? এসব দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ হচ্ছে। তিনি আরো বলেন তৌফিকুর রহমান (ডিউও) লেখার সময় থাকে কিছু টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে আবার (ডিউও) লিখতে চায় না।

এ বিষয়ে নৈশ্য প্রহরী তৌফিকুর রহমান কেন পরিচয় গোপন করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি নৈশ প্রহরী পদে আছি। তাছাড়া- আমি যে পদেই আছি, তাতে আপনাদের সমস্যা কি!”খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির কার্ড রিপ্লেস করলে একশত টাকা লাগে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কোন বরাদ্দ নাই। সবাইকে ম্যানেজ করতে হয়।

নান্দাইল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিলোয়ার হোসেন বললে, সরকারি আদেশে তাকে অফিসের কাজে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি এখানে নতুন এসেছি আসার পর থেকে তাকেই এখানে দেখতেছি এর বেশি কিছু জানিনা। তার সার্ভিস বই হালুয়াঘাট। সার্ভিস বই না দেখে কিছু বলা যাবে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এখনো এধরণের কোন অভিযোগ পায়নি। তাছাড়া কার্ড রিপ্লেস করলে টাকা নেওয়ার কোন বিধান নেই।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি