1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ডিমলায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিহত-১  এবার জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে অব্যাহতি পবিত্র হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন

কলেজ ছাত্র হত্যার কথা স্বীকার করে ফেসবুক পোস্টে যুবকের আত্মসমর্পণ 

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮৮ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির স্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের নান্দাইলের কলেজ ছাত্র মারফত আলী (২২)কে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ি এলাকায় কুপিয়ে হত্যার পর ফেসবুক পোস্টে আদালতে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেয় অভিযুক্ত যুবক। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ‘মোহা. ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর’ নামে নিজ ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দেন অভিযুক্ত যুবক তানভীর। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানাগেছে, ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর নান্দাইল উপজেলার ধুরুয়া গ্রামের উসমান খানের পুত্র। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে গৌরীপুর উপজেলার ভাংনামারী ইউনিয়নের মুন্সিবাড়ী এলাকায় মারফত আলীকে হত্যা করা হয়। মারফত আলী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের সাকুয়া মাঝেরচর গ্রামে ভাগ্নির বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। বিয়ে শেষে ভাগ্নিকে এগিয়ে দেওয়ার সময় মুন্সিবাড়ী মাদরাসার সামনে সড়কে দূর্বৃত্তরা পথরোধ করে তাঁর উপর হামলা চালায়। উক্ত হামলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারফত আলীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মারফত আলীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত মারফত আলী নান্দাইল উপজেলার ধুরুয়া গ্রামের কাশেম আলী ফকিরের পুত্র। পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, মারফত আলীর উপর দীর্ঘদিন ধরে ক্ষুব্ধ ছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান তানভির (৩০)। তানভিরের নামে হত্যাচেষ্টাসহ অন্তত সাতটি মামলা রয়েছে। এক বছরে অন্তত ১০ জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে ওই তানভিরের বিরুদ্ধে। এছাড়া তানভির ফেসবুক লাইভ ও পোস্টে ধুরুয়া ফকির বাড়ির বেশ কয়েকজনকে একাধিকবার হত্যারও হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে ওয়াহিদুজ্জামান তানভিরের ফেসবুক প্রোফাইল যাছাই করে জানাগেছে, ধুরুয়া ফকির বাড়ির লোকজনের সাথে তাঁর পূর্ব শত্রুতা ছিল। কিন্তু তানভিরের এসব কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করা হলেও তাকে কখনো গ্রেপ্তার হতে হয়নি। এছাড়া গত ২রা এপ্রিল তানভীর মারফতকে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রাণনাশের হুমকি দেন। কিন্তু হত্যার পর ওয়াহিদুজ্জামান তানভীর নিজ ফেসবুক আইডিতে নিহত মারফত আলীর ছবি সহ পোস্টে লিখেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আত্মসমর্পণ করলাম। ভুলভ্রান্তি মানুষেরই হয়, ঠিক তেমনি আমারও হয়েছে। নান্দাইলের মানুষ আমাকে শীর্ষ সন্ত্রাস বানিয়েছে। আমি কি শীর্ষ সন্ত্রাস ছিলাম? আমাকে বানানো হয়েছে। ফকির বাড়ির (নিহত মারফতের বাড়ি) লোকজন আমাকে বানিয়েছে।’ ‘চলে গেলাম, সবাই ভালো থাকবেন। অবশ্যই আবার আসব। নান্দাইল ইনশাল্লাহ যে জায়গা থেকে আমাকে শীর্ষ সন্ত্রাস খারাপ বানানো হয়েছে, সেই জায়গা থেকে আমাকে ভালো মানুষ হইতে হবে। নান্দাইল আমি অবশ্যই আসব। আলম নোমান মাসুদ…তোমাদের সঙ্গে দেখা করবো ইনশাল্লাহ। আইনের চোখে অপরাধী হয়ে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যায় না। আমি আত্মসমর্পণ করতে গেলাম। সকলেই দোয়া করবেন ফি আমানিল্লাহ…..।’

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি