1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ডিমলায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিহত-১  এবার জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে অব্যাহতি পবিত্র হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন

বাজিতপুরে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দু’পরিবারের মধ্যে দ্বন্ধ চরমে, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চায় স্থানীয়রা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৮০ বার শেয়ার করা হয়েছে।

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ পিরিজপুর বাজেগাঁও গ্রামে পাশু মিয়া ও জসিম উদ্দীনের পরিবারের মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দ্বন্ধ। পাশু মিয়ার দাবি জমিটি ক্রয়কৃত। অপরদিকে জসিম উদ্দীনের দাবি পৈতৃক সম্পত্তি। এ নিয়ে দু’পরিবারের মধ্যে দ্বন্ধ চরম আকারে ধারণ করেছে। সম্প্রতি জসীম উদ্দীনের পরিবার পাশু মিয়ার পরিবারের বিরুদ্ধে ঘর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আর এ অভিযোগের প্রতিবাদ জানাতে পাশু মিয়ার পরিবার বাড়ির উঠানে করেছে সংবাদ সম্মেলন।

পাশু মিয়ার পরিবারের দাবি, মোট চারটি দলিলের মাধ্যমে একই দাগ থেকে ৩৩.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন প্রতিপক্ষ জসিম উদ্দীনের বাবা ও দাদার কাছ থেকে। চারটি দলিলের মধ্যে সর্বশেষ দলিলটি করেছেন ১৯৯০ সালের ১৮ জুলাই।

স্থানীয় ও পাশু মিয়ার পরিবার সূত্রে জানা যায়,
১৯৯০ সালের পর থেকে জমিটি পাশু মিয়ার ভোগ দখলে ছিল। ২০১৪ সালের দিকে জমিটি নিয়ে দ্বন্ধের সূত্রপাত হয় দুটি পরিবারের মধ্যে।
সেসময় মাফঝোক করে দেখা যায় ক্রয়কৃত ৩৩.৫০ শতাংশ জমির মধ্যে ৩৫২৩ দাগে ২১.৭৫ শতাংশ ভূমি দখলে রয়েছে পাশু মিয়ার। সাফ কাওলা অনুযায়ী ১১.৭৫ শতাংশ ভূমি দখলের বাইরে থাকে ক্রেতা পাশু মিয়ার। বিক্রেতার ওয়ারিশান জসীম উদ্দীন ১১.৭৫ শতাংশ ভূমি ক্রেতা পাশু মিয়াকে বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো ফেরত আনার চেষ্টা করে।
আর সেসময় দু’পরিবারের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি হামলা মামলার ঘটনা।

অভিযোগ রয়েছে সেসময় থেকেই জসীম উদ্দীন প্রভাব খাটিয়ে পাশু মিয়ার পরিবারের উপর বিভিন্ন নির্যাতন করেন।

২০১৬ সালের দিকে জসীম উদ্দীনের পরিবার ২১.৭৫ শতাংশ ভূমির মধ্যেও জোরপূর্বক ছোট টিনের দু’চালা ঘর তুলে বসতি শুরু করেন এমন অভিযোগও রয়েছে পাশু মিয়ার পরিবারের।

পাশু মিয়া ও তার পরিবার এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকে নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় এমনটিও দাবি পরিবারটির।

পাশু মিয়ার পরিবার আরো দাবি করেন , জসীম উদ্দীন ক্ষমতাচ্যুৎ আওয়ামীলীগের স্থানীয় কিছু নেতাদের প্রভাবে দীর্ঘ বছর ধরেই নাটকবাজি করছেন তাদের ক্রয়কৃত ভূমি দখলে রাখার জন্য। ক্রয়কৃত ভূমি দখলে নিতে পাশু মিয়ার পরিবারকে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি, দিতে হচ্ছে চরম মূল্য।
পাশু মিয়ার পরিবারের দাবি ক্রয় করার পর দখলে নিয়ে জমিটিতে চাষবাস করলেও পরে প্রভাব দেখিয়ে দখলে নিয়ে নেয় জসীম উদ্দীনের পরিবার।

দু’পরিবারের দ্বন্ধ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে শালিস দরবার হয় প্রায় ৪১ টির মতো। আর এ বিষয়টি আদালতপাড়া পর্যন্ত গড়িয়েছে। শালিস ও আদালতের রায়কে অমান্য করে দখলে রাখার দ্বন্ধ থামেনি বাজেগাঁওয়ে।

পাশু মিয়ার পরিবারের পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে থাকায় জসীম উদ্দীনের পরিবারের আট থেকে দশজন পুরুষের সাথে আইনি লড়াই ছাড়া স্থানীয় পেশি শক্তি দিয়েও কুলিয়ে উঠতে পারছিলেন না এমনটিই দাবি পরিবারটির।

সরকার পরিবর্তনের পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে গত ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় সর্বশেষ শালিসটি।

দু’পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ বছরের দ্বন্ধ সমাধানে ক্রয়কৃত ৩৩.৫০ শতাংশের মধ্যে ২৮ শতাংশ ভূমি পাশু মিয়াকে বুঝিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব হয় গ্রাম্য শালিসে। এতে দু’পক্ষই শালিসের রায় মেনে নেওয়ার কথা বলে স্বাক্ষর করে একটি কাগজে। ২৮ শতাংশ ভূমি চিহ্নিত করে সীমানা নির্ধারণের খুঁটি মারা হয়। জসীম উদ্দীনের ঘর সড়িয়ে নিতে সপ্তাহ খানেক সময় বেঁধে দেন মাতব্বররা।

বেঁধে দেওয়া সময় অতিক্রম করে পনেরো দিন পার হয়ে গেলেও ভূমিটি খালি করে দেননি জসীম উদ্দীনের পরিবার।

পহেলা জানুয়ারী সকালের দিকে ঘরসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয় জসীম উদ্দীনের। জসীম উদ্দীনের পরিবারের দাবি পাশু মিয়ার পরিবার ও তাদের লোকজন এ কাজটি করেছেন।

তবে পাশু মিয়ার পরিবার ভাংচুরের ঘটনাটি অস্বীকার করে দাবি তুলেন কে বা কারা ভাঙচুর করেছে তারা তা জানেন না। হয়তোবা নিজেরাই ভূমিটি খালি করে ভাঙচুরের নাটক সাজিয়ে সাধারণ মানুষের সিম্পেথি নেওয়ার চেষ্টা করছে জসীম উদ্দীনের পরিবার।

সংবাদকর্মীরা ভূমিটিতে গিয়ে দেখতে পান ঘর নেই, আছে রোপণকৃত কতগুলো কলাগাছ।

ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে জসীম উদ্দীন বাজিতপুর থানায় পাশু মিয়া ও তার পরিবারকে দায়ী করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সাংবাদিকদের উপস্থিতির টের পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জসীম উদ্দীনের পরিবার। আর এ দৃশ্যগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পরলে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

এ দিকে পাশু মিয়ার পরিবারও পরেরদিন বিকেলে বাড়ির আঙিনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। তাদের দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভিডিও ছড়িয়েছে তাতে জসীম উদ্দীনের পরিবার মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের সম্মানহানীর চেষ্টা করেছে।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি