1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর

নান্দাইলে ধর্ষকের বিচারের আকুতি নিয়েই অবশেষে মারা গেলো ছাত্রী

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ২৭২ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির বিশেষ প্রতিনিধি

[ প্রথমে চোখ এবার গেলো প্রাণ ]

[ মা-বাবার কাছে মেয়ের চোখের কর্ণিয়াই শুধু স্মৃতি ]

ধর্ষকের বিচারের আকুতি নিয়েই অবশেষে মারা গেলো ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের নারায়াণপুর গ্রামের নিরীহ কৃষক আবুল কালামের মেয়ে মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া আক্তার (১৫)। সোমবার (১৬ই ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে সে মারা যায়। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ আহমেদ পাপিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। দীর্ঘ তিন মাস ধর্ষকের হাতে নির্যাতনে প্রথমে তাঁর ডান চোখ হারায় ছাত্রীটি। পরে অর্থাভাবে চিকিৎসার কারণে অবশেষে তাঁর প্রাণ হারায়। তাঁর মৃতুত্যে এলাকায় শোকের ছায়ায় নেমে এসেছে। মা-বাবার কাছে ফ্রিজে রাখা পাপিয়ার হারানো চোখের কর্ণিয়ায় এখন মেয়ের একমাত্র স্মৃতি। ধর্ষকের বিচার চেয়ে বিচার না পাওয়া নিহত পাপিয়ার মা-বাবা এখন সব হারিয়ে বড়ই হতাশ ও দিশেহারাগ্রস্থ। জানাগেছে, উক্ত ধর্ষক সিংরইল ইউনিয়নের কুচুরী চরপাড়া গ্রামের হানিফ মিয়ার পুত্র মো. হোসাইন (১৯)। সে বাকচান্দা আব্দুস সামাদ একাডেমীর দশম শ্রেণির ছাত্র। হোসাইন ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব সহ বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত। একপর্যায়ে গত ১লা জুন/২৪ইং প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় ছাত্রীটিকে দলবলসহ উঠিয়ে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নিয়ে যায় হোসাইন। দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে থানায় গিয়ে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা পায়নি পাপিয়ার পরিবার এবং তাদের মেয়ের সন্ধানও পায়নি তারা। পরবর্তীতে ৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে অপহৃত ছাত্রীাকে বাড়ির সামনে নান্দাইল-হোসেনপুর সড়কের পাশে ফেলে রেখে যায় হোসাইন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ময়মনসিংহ এবং পরে ঢাকার আগারগাঁও চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে বাম চোখ বাঁচাতে আঘাতপ্রাপ্ত ডান চোখটি ওঠিয়ে ফেলা হয়। যা বর্তমানে ছাত্রীর বাড়ির ফ্রিজে সংরক্ষিত আছে। এ বিষয়ে নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে নালিসি (সিআর) মামলা দায়ের করা হলেও এপর্যন্ত অভিযুক্ত অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়নি। নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ আহম্মেদ বলেন, আমরা মৃত্যু খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছি।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি