বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৩ বছর ধরে দেশের মাঝে অনেক ঘটনা অঘটনা সুন্দর অসুন্দর বিষয় নিয়েই চলছে এই দেশ । তারপরও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের আমামর জনগণের যেমন রয়েছে শ্রদ্ধা, সম্মান ভালোবাসা তেমনি রয়েছে অসৎ লোকদের ভয়।
এদিকে বতর্মান পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রায় দুই মাস ধরে সেনাবাহিনী ব্যারাকের বা ক্যান্টনম্যান্টের বাহিরে তাদের অবস্থান রয়েছে। আর তাহলো জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দেয়া। এবং সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য।
৫ আগষ্ট ২০২৪ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর পর গণভবন লুঠপাট হলো। সংসদ ভবন ভাংচুর হলো। দেশের আওয়ামী মনা অসংখ্য মন্ত্রী এমপি নেতাকর্মীদের ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর হলো। এখনো কোনো কোনো জায়গায় হচ্ছে।
যথায় তথায় বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে একটি গ্রুপ দিবালোকে মানুষ হত্যা করছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তিকে হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
অনেকের ঘরবাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অন্য দলের নেতাকর্মী পরিচয়ে দখল করে নিয়ে যাচ্ছে।
সেনাপ্রধান সহ সেনাবাহিনীর সকলের এই মর্মে দৃষ্টি আকর্ষণ কথছি যে। এরকম অপ্রীতিকর ঘটনার দায় কখনও সেনাবাহিনী এড়াতে পারে না। এই ধরনের বিশৃঙ্খলা পরিবেশ দির্ঘদিন চলমান থাকলে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে সেনাবাহিনীর আত্মমূল্যায়নের বা মানসম্মানের । একদিকে যেমন নিন্দুকেরা কঠোর মন্তব্য করা শুরু করবে । অন্য দিকে কমে আসবে সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ভালোবাসা বিশ্বাস ও সম্মান করা।
আর সেনাবাহিনীর প্রতি একবার জনগণের বিশ্বাস হারিয়ে গেলে হারিয়ে যাবে রাষ্ট্রের শৃংখলা। তখন আর কোনো ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না এই সমাজের বিশৃঙ্খলা। আজকে এখনই মুখ্য সময়। কঠোর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে সকল প্রকার অসুন্দর বিষয় গুলো দমন করা। আমরা মিডিয়ার লোকেরা চাই গোটা সমাজ সুন্দর থাকুক। দেশের সম্পদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতি সর্বস্তরের জনগণের ভয় কাটিয়ে, শুধু সম্মান এবং ভালোবাসা থাকুক।
অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী
২০২৪ ঢাকা থেকে।
Leave a Reply