সোহেল কবির, স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কে নিষিদ্ধ থ্রী-হুইলার ও ডেটফেল গাড়িতে আবার স্টিকার বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
গত ৫ আগষ্টের পর মহাসড়কে থ্রীহুলারে স্টিকার লাগিয়ে চাঁদাবাজি করা বন্ধ থাকলেও ইদানিং চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠে এবং ২০২৫এর পহেলা মার্চ থেকে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় এসকল নিষিদ্ধ থ্রীহুইলার আবার চলাচল শুরু করে।
নিষিদ্ধ থ্রীহুইলারে মাসিক ৫ শত টাকার বিনিময়ে স্টিকার লাগিয়ে পুলিশের সামনেই বীর দর্পে চলাচল করে আসছে। চাঁদাবাজরা রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙ্গিয়ে হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে সড়কে চলাচলের সুযোগ দিয়েছে প্রায় দুই সহস্রাধিক থ্রী- হুইলার।
প্রাপ্ত বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গড়ে উঠা থ্রী-হুইলারের ১২টি ষ্ট্যান্ড থেকে মাসে ৬ হাজার করে টাকা হাইওয়ে পুলিশকে দেয়া হয়।
যে সকল রোডে নিষিদ্ধ থ্রী-হুইলার চলাচল করে গাউছিয়া টু মুড়াপাড়া, কাঁচপুর, স্টাফ কোয়াটার, বন্দর, মদনপুর, কিশোরগঞ্জ, পাচরুখী, মায়ারবাড়ি, কুড়িল বিশ্বরোড, মীরের বাজার, আড়াইহাজার ও বিষনন্দী ফেরিঘাট।
সিএনজি, অটোরিকশা ও থ্রী-হুইলার চালকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এশিয়াান হাইওয়ে ও মহাসড়কে চলাচলরত থ্রী-হুইলারের কিছু চালক হাইওয়ে পুলিশকে মাসে এক হাজার করে টাকা দিয়ে বীরদর্পে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে।
জানা যায় মাসোয়ারার বিনিময়ে হাইওয়ে পুলিশের অলিখিত অনুমোদনে এসকল নিষিদ্ধ থ্রী-হুলার হাইওয়ে ও মহাসড়কে চলাচল করলেও হাইওয়ে পুলিশ থেকে যায় নিরব ভূমিকায়।
ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ওসি জাহানুর রহমান বলেন স্ট্যান্ড থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
আমরা হাইওয়ে পুলিশ কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেই না। আর আমি নতুন আসছি, আমি বিষয়টি তদন্ত করে দেখব। আমাদের নাম করে যদি কেউ টাকা পয়সা নিয়ে থাকে তার বা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।