স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারী জেলা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি)- সাবেক সভাপতি ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ডিমলা উপজেলা জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
রবিবার (৪-মে) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা বিএনপি'র আয়োজনে দলীয় কার্যালয় চত্বরে সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিমলার শুটিবাড়ি মোড়ের স্মৃতি অম্লানের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ডিমলা উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বদিউজ্জামান রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ গোলাম রাব্বানী প্রধান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম লিটন, উপজেলা মহিলা দলের নুরজাহান পারভীন, ডিমলা সদর ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ডিয়ার,
বালাপাড়া ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল ইসলাম, নাউতারা ইউনিয়নের সভাপতি- রেজাউল ইসলাম, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সেলিম, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক, সদর ইউনিয়ন যুবদল সভাপতি সোহাগ খান লোহানী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মিজানুর রহমান সবুজ, সদস্য সচিব আলমগীর কবির প্রিন্স, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য হাসানুর রহমান মুন্না, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের আহবায়ক বাবু উৎপল কান্তি সিং, সদস্য সচিব বাবু জ্যোতি চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সেলিম ইসলাম সাগর, ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রিন্স লিমন হোসেন প্রমুখ এবং ডিমলা উপজেলার ১০ ইউনিয়নের বিএনপির নেতৃবৃন্দ। উপজেলার যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল কৃষক দল তাঁতি দল ও বিএনপি'র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত থেকে মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রকৌশলী শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন ঢাকার পৃথক দুটি মামলায় বিশেষ জজ আদালতে তার আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এর কিছুক্ষণ পর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
‘জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় দুটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে আদালত তাকে দুটি ধারায় মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। যা একত্রে পাঁচ বছর হিসেবে গণ্য হবে। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় তাকে ২০০৮ সালে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। দীর্ঘ ১৮ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।