1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা ডিমলায় ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে নিহত-১  এবার জ্বালানি উপদেষ্টার পিএসকে অব্যাহতি পবিত্র হজযাত্রীদের সেবা সহজীকরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ উদ্বোধন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আল্লাহ্ কে, আপনি কি তাঁর পরিচয় জানেন

সন্তান ফিরে পেতে আদালতের শরণাপন্ন হলেন ‘মা’

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৮৯ বার শেয়ার করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টারঃ “সন্তানকে এক মুহূর্ত চোখের আড়াল করতেও পারি না। অথচ আজ সে আমার কাছেই নেই,”—কথাগুলো বলেন লিজা আক্তার (ছদ্মনাম)। নীলফামারীর ডোমার উপজেলার এক নির্যাতিত মা, যিনি তার চার বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে ফিরে পেতে এখন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে, যখন ডোমার উপজেলার দক্ষিণ মটুকপুর সাহেবপাড়া গ্রামের মোঃ ফজর আলীর ছেলে আবু শাহিনের সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত ও রেজিস্ট্রিকৃত কাবিননামার মাধ্যমে লিজা আক্তারের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে এক কন্যা সন্তান— শাহিমা আক্তার জন্ম হয়। তবে সন্তানের জন্মের পরপরই বদলে যেতে থাকে দৃশ্যপট।

লিজা আক্তারের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার নিকট ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। গরিব বাবার পক্ষে সে টাকা জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়লে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তালাকনামায় স্বাক্ষর নেওয়া হয় তার কাছ থেকে।

পরবর্তীতে আবু শাহিন নিজের ‘ভুল’ বুঝতে পেরে পুনরায় লিজাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় গিয়ে ঘোষণা সহকারে বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ পুনঃনিশ্চিত করেন। সেখানে এক বছর সংসার চলার পর তারা আবার ফিরে আসেন গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু ফিরে আসার পর পুরনো ইতিহাস ফিরে আসে। ফের শুরু হয় নির্যাতন, এবার আরও বেশি মাত্রায়।

চলতি বছরের ২ মার্চ, আবু শাহিন, তার পিতা ফজর আলী এবং মাতা সালমা বেগম পুনরায় ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা লিজা আক্তারকে নির্মমভাবে মারধর করে এবং তার শিশুকন্যাকে জোরপূর্বক নিয়ে তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আশপাশের লোকজন এসে লিজাকে উদ্ধার করে ডোমার হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শারীরিক সুস্থতার পর লিজা আক্তার সন্তানের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়ভাবে একাধিকবার চেষ্টা করেন। কিন্তু সকল চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত ন্যায়বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।

বিজ্ঞ আমলি আদালত নং ৫ ডোমার, নীলফামারীতে দায়ের করা( পিটিশন নম্বর ৭৪/২০২৫ ডোমার ) মামলায় তিনি তার শিশু কন্যা শাহিমা আক্তারকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।

লিজা আক্তারের কণ্ঠে কেবলই একটিই আর্তি—“আমার সন্তানকে ফিরিয়ে দিন, সে আমার বুকের ধন, আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারি না।”

ডিমলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ময়েন কবীর বলেন, এই ঘটনা শুধুই এক মায়ের আর্তনাদ নয়, এটি আমাদের সামাজিক ও আইনগত কাঠামোর সামনে এক কঠিন প্রশ্নও বটে—একটি শিশুর জীবনের মৌলিক অধিকার কি তার মায়ের কোল থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা?

লিজা আক্তারের বাবা মোজাম্মেল হক জানান, “ওরা আমার মেয়ের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। আমি একজন গরিব, আমি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার চাই।”

লিজা আক্তার জানান, “আমি আমার শিশু সন্তানকে আমার কোলে ফেরত চাই। আমি একজন মা, সন্তানের জন্য আমার বুক হাহাকার করছে। আমার এই আর্তনাদ ঐ পাষণ্ডরা বুঝবে না। আমি বহেলিত এবং নির্যাতনের শিকার। আমি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আমার সন্তানকে ফিরে চাই।”

লিজার স্বামী আবু শাহিন জানান, “ঐ স্ত্রীকে নিয়ে আমি আর সংসার করবো না। আমার পরিবারও তাঁকে মেনে নিবে না। এখন বাচ্চা আমার কাছে আছে। সে যদি মামলা করে থাকে তাহলে আদালতে দেখা হবে। আমরা এসব মামলার পরোয়া করি না।”

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি