1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ   সরকারি অর্থায়নে ৬ লেনের রাস্তা ও চীন সরকারের অর্থায়নে ১টি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের দাবি বরিশালবাসীর কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ জেলা শাখা

নান্দাইলে ‘কসম’ সংগ্রহে হুড়োহুড়ি জ্বালানীর জন্য কালোমাটি তুলতে এলাকাবাসীর হিড়িক

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ১৪৮ বার শেয়ার করা হয়েছে।

মোঃ শাহজাহান ফকির,স্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নে নরসুন্দা নদী খননের পর ‘কসম’ সংগ্রহে হুড়োহুড়ি করছে এলাকাবাসী। স্থানীয়দের নামানুসারে কালোমাটির নাম হচ্ছে কসম। যে মাটি রৌদ্রে শুকিয়ে তা রান্নাবান্নায় বিকল্প জ¦ালানী হিসাবে ব্যবহারা করা হচ্ছে। কালোমাটি সংগ্রহে নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সরজমিন গিয়ে দেখাগেছে, রাজগাতী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের নিকট শুভখিলা রেলসেতু ও চংভাদেরা এলাকায় নরসুন্দা নদী খনন যন্ত্রের আশেপাশে দুই পাড়ের বিভিন্ন বয়সের লোক কোদাল, শাবল নিয়ে যে যেভাবে পারছে কসম (কালো মাটি) সংগ্রহ করছে। কেউ বস্তা, বড় গামলা, কেউ খাদি ভরে ভরে মাটি পাড়ে নিয়ে জমা করছে। কেউ কেউ আবার নদীর মাটির নিচে পাওয়া অর্ধপচা গাছের গুড়ি কেটে কেটে লাকড়ি সংগ্রহের কাজে ব্যস্ততায় কাটাচ্ছে। জানাগেছে,‘কসম, এক ধরনের কালো মাটি যা প্রাচীন কোন জলাশয়, নদীর কিনারায় বা তলদেশে পাওয়া যায়। সাধারণ মাটি থেকে এ মাটি একটু কালো এবং ওজনে হালকা হয়। রোদে শুকিয়ে সে মাটি দিয়ে সারা বছর রান্না বান্নার কাজ করা যায়। ফলে বিনা পয়সার এ জ্বালানীর কদর এখন সবার বাড়িতে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের অধীনে নান্দাইলের নরসুন্ধা নদীটির ২৩ কিমিঃ খননের কাজ শুরু হয়েছে। বিশ দিন যাবত ১৩ টি খনন যন্ত্র (ভেকু) উক্ত নদীর খনন কাজ শুরু করেছে। খনন করতে গিয়ে নদীর কাদামাটির নিচে বা পাশে এক ধরনের হালকা কালো মাটি পাওয়া যাচ্ছে। সে মাটি সংগ্রহের জন্য চলছে নদীর পাড়ের লোকজনের হুড়োহুড়ি। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক, শামছুল হক ও হাবিবুর জানান, বাপ দাদার কাছে শুনেছেন বড় বড় গাছ পালা নদীর মাটির নিচে চাপা পড়ে এ ধরনের কালো মাটিতে পরিণত হয়েছে। এ মাটি সংগ্রহের পর তা টুকরা টুকরা করে ১৫ থেকে ২০ দিন রোদে শুকাতে হয়। এরপর সারা বছর রান্নার জ্বালানী হিসাবে মজুদ রাখা হয়। রাজগাতী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার মমতাজ খোকন জানান, মাটি সংগ্রহে নদীর পাড়ের অসচ্ছল পরিবারগুলোর মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা তা উৎসবের সৃষ্টি হয়েছে। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার জানান, এধরনের মাটি পাওয়া গেলে সেটি খুবই ভালো একটি খবর। আমরা যত বেশি জীবাশ্ব জ্বালানী ব্যবহার করতে পারব, ততই আমাদের বনাঞ্চল সংরক্ষিত থাকবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলেও জানান তিনি।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি