1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভাল কিছু করতে গেলেই হয়রানি করা হয়: সেলিম প্রধান ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ  

বাজিতপুরে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে কাপড় ও লাকড়ি শুকান স্থানীয়রা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৪৮ বার শেয়ার করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার

কিশোরগঞ্জে বাজিতপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শহীদ মিনারে কাপড় ও লাকড়ি শুকাতে দেখা গেছে। উপজেলার বলিয়ার্দী ইউনিয়নের ২৭ নং সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাউন্ডারীর ভিতরে অবস্থিত শহিদ মিনারে এ দৃশ্যটি দেখা গেছে। দেখা যায়, বিদ্যালয়টির সুসজ্জিত গেইট ও বাউন্ডারী ওয়াল আছে। তালাবদ্ধ না থাকায় বিদ্যালটির ভিতর দিয়েই অবাধ চলাফেরা করে লোকজন। দায়িত্বপ্রাপ্ত নৈশ প্রহরী কাম দপ্তরীও রয়েছে বিদ্যালয়টিতে।

সরেজমিনে এ প্রতিবেদক গিয়ে দেখেন, শহিদ মিনারের উপর দাড়িয়ে একজন নারী কাপড় চোপড় নাড়ছেন। মিনারের পিলারের সাথে রশি টানিয়ে কাপড় চোপড় দিয়ে মিনারটি সম্পূর্ণ ঢেকে ফেলেছে। কাপড় চোপড় নাড়ার বিষয়ে মধ্যবয়স্কা নারীকে জিজ্ঞেস করলে নিজেকে হাসপাতালের নার্স বলে পরিচয় দেন। তার ভাষ্য এলাকার সবাই এখানে কাপড় চোপড় শুকাতে দেন তাই তিনিও দিচ্ছেন। শহীদ মিনারটির তদারকি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন বিদ্যালয়ের গেইট সবসময় খোলা থাকে। তাই তারা কাপড় শুকাতে দেন এখানে। তিনি আরো বলেন, এ পর্যন্ত তাদের কেউ কিছু বলেনি।

এছাড়া শহিদ মিনারের বেদীর উপরেই শুকানো হচ্ছে কাঠের লাকড়ি। পাশেই গোবরের তৈরি লাকড়িও (চডা ও মুইট্টা) শুকাতে দেখেনে এ প্রতিবেদক।

বিদ্যালয়টির বারান্দা ঘেসে, মাঠ ও সম্পূর্ণ এরিয়া জুড়েই কাপড় চোপড় ও লাকড়ি শুকাতে দেখা যায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন নারীকে।

প্রধান শিক্ষকের বাড়ি বিদ্যালয়টি সংলগ্ন স্থানে।স্বামী-স্ত্রী মিলেই দীর্ঘবছর ধরে আছেন এ বিদ্যালয়ে। তবে বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ থাকায় কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলমকে অবহিত করে হোয়াটসঅ্যাপে সমস্ত ছবি ও তথ্যপ্রমাণ পাঠালে দায়িত্বে অবহেলাকারী ও দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

সচেতন মহলের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই শহীদ মিনারে এমনটি করছেন স্থানীয় কিছু মানুষজন। বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও কর্মচারীদের দায়িত্ব অবহেলা ও গেইট তালাবদ্ধ না রাখায় এমনটি হচ্ছে । প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরির বাড়ি বিদ্যালয়ের কাছেই। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও অবহেলার জন্যই এখানে শহিদ মিনার অবমাননা করা হচ্ছে। দোষীদের আইনানুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান সচেতন মহল।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি