1. admin@alokitoshomachar.com : sh@admin :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
ভাল কিছু করতে গেলেই হয়রানি করা হয়: সেলিম প্রধান ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে সেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ কিশোরগঞ্জ শ্রমিক অধিকার পরিষদের আনন্দ র‌্যালী  এডিবির ফসিল ফুয়েল বিনিয়োগের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে নাগরিক প্রতিবাদ পাকুন্দিয়ায় প্রশিক্ষণ সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ ময়মনসিংহে নবায়নযোগ্য শক্তির নীতিমালা সংস্কারের দাবীতে মানববন্ধন ডিমলায় সাবেক সাংসদ তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করলেন তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কিশোরগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গত ২ দিন যাবত বন্ধ রয়েছে দলিল রেজিস্ট্রির কার্যক্রম নান্দাইলে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রদর্শনীর উপকরণ বিতরণ  

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আফতাব ফার্মের ২০টি খামার বিনা নোটিশে বন্ধ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪
  • ১৫১ বার শেয়ার করা হয়েছে।

আফজালুর রহমান উজ্জ্বল (হোসেনপুর সংবাদদাতা)

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আফতাব বহুমূখী ফার্মের ২০টি খামার বিনা নিটিশে বন্ধ হয়ে গেছে। এসব খামারগুলো দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতে দীর্ঘ বিশ বছরের ও অদিক সময় বয়লার প্যারেট ডিম উৎপাদন করে আসছিলো। উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের জামাই গ্রামের খামারি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল, ভরুয়া এলাকার খামারি আব্দুল ওয়াহাব, ধুলজুরি এলাকার খামারি ফরিদ উদ্দিনসহ আরো কয়েজন খামারিদের অভিযোগ বন্ধ হওয়ার আগে তাদেরকে এ বিষয়ে অবগত না করায় তার চোখ মুখে সরর্ষে ফুল দেখছেন।

এপরিবার পরিজন নিয়েও তারা চরম দুর্দশায় দিনাতিপাত করছেন। প্রায় এক বছর হলেও তারা অনিশ্চয়তা আছেন তাদের খামারগুলো আদৌ চালু হবে কী না? তারা আরো ও জানান খামারগুলো বন্ধ থাকায় শেডসহ সমস্ত কিছুই নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিচ্ছে। এগুলোর পিছনে ব্যাংক ঋণ রয়েছে। যার কিস্তি না দিতে পারলে আমরাও দেওলিয়া হয়ে যাবো। যে জন্য তাদের দাবী কতৃপক্ষ যেন খামারগুলো অতি শীঘ্রই চালু করে তাদেরকে ঋণ মুক্ত রাখে।

জানা যায়; এসব খামারিগণ মরহুম জহিরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠিত আফতাব বহুমূখী ফার্মের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের নিজস্ব এক একরের মত জায়গাতে নিজস্ব অর্থায়নে মুরগী লালন- পালনের ঘর শেড তৈরিসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু করার পর আফতাব ফার্ম প্যারেন্ট বয়লার মুরগির বাচ্চা, মুরগির খাবার, ওষুধ ও সেবা দিয়ে সহায়তা করতেন। এর পর ৬ মাস মুরগি লালনপালন শেষে মুরগী ডিম দেওয়া শুরু করলে ওই ডিমগুলো আফতাব বহুমূখী ফার্মে নিয়ে বয়লার প্যারেন্ট বাচ্চা উৎপাদন করতো। ওই ডিমগুলো যেহেতু বয়লার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হতো যে জন্য এগুলো উচ্চ মূল্য নির্ধারণ করে প্রতিটি এভারেজ ( গড় হিসেবে) ২২-২৪ টাকা বাজার মূল্য নির্ধারণ করে তা থেকে লাভের একটা অংশ উদ্যোক্তাদের (খামারিদের) দেওয়া হতো। এভাবে একেকজন খামারি ডিম উৎপাদন চলাকালীন সময়ে ৭০- ৮০ হাজার টাকা করো পেতো যা দিয়ে তারা ভালোভাবেই চলতে পারতেন।

এভাবে প্রতিমাসে ২০টি খামারে মধ্যে একই সাথে সবগুলো উৎপাদনে না গেলেও অন্তত ১০ টি খামারে দু’ লাখের ও অধিক ডিম উৎপাদন হলো। যা একদিকে যেমন জাতীয় অর্থনৈতিতে অবদান রাখতো ; অন্য দিকে মাংস উৎপাদন করে দেশের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা রাখতো। এ ছাড়াও প্রতিটি খামারে কর্মরত শ্রমিকদের কাজের সুযোগ ছিল। এ সকল খামারগুলো বন্ধ হওয়ার মধ্য দিয়ে সকল সুযোগ থেকে কর্মরত এক লোকজন জীবনের মাঝ পথে এসে বেকার হয়ে পরেছেন।

এ বিষয়ে আফতাব বহুমূখী ফার্মের দেখ বাল করার দায়িত্বে থাকা ভাগলপুর অফিসের এজিএম মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানায়, খামারগুলো বন্ধ করে দেওয়ার একমাত্র কৌশলগত কারণ হলো ধারাবাহিক লোকসান। এগুলো আপাততঃ চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ছবি সংযুক্ত: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে আফতাব বহুমূখী ফার্মের উদ্যোগতাদের খামার গুলোতে মুরগী না দেওয়ায় সে গুলো এক বছর যাবৎ এভাবেই পরে রয়েছে। ছবিটি উপজেলার আড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের জামাই গ্রামের খামারি মোস্তাফিজুর রহমান টুটুল মিয়ার।

আপডেট সংবাদ পেতে আলোকিত সমাচার পড়ুন, সংবাদটি শেয়ার করে সাথে থাকুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি